বিপিএলের নিলামে যেসব নিয়ম মেনে খেলোয়াড় কিনতে হবে

বিপিএলের আগের আসরগুলোতে প্লেয়ার ড্রাফটসের মাধ্যমে দল সাজনো হতো। এবারও তেমনটাই ইচ্ছা ছিল বিসিবির, কিন্তু ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর আগ্রহের কারণে নিলাম আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। আগামী ১৭ নভেম্বর এই নিলাম অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত তা পিছিয়ে যাচ্ছে। নতুন সম্ভাব্য তারিখ ২১ নভেম্বর। নিলাম থেকে প্রতিটি ফ্র্যাঞ্চাইজিকে কমপক্ষে ১৩ জন দেশি এবং অন্তত ২ জন বিদেশি ক্রিকেটার কিনতে হবে।

বিপিএলের ১২তম আসরের নিলামের বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে খেলোয়াড়দের ভিত্তিমূল্যসহ নীতিমালা চূড়ান্ত করেছে বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল। স্থানীয় খেলোয়াড়দের জন্য থাকছে ছয়টি ক্যাটাগরি। 'এ' ক্যাটাগরির ক্রিকেটারদের ভিত্তিমূল্য ৫০ লাখ টাকা, যা প্রতি ডাকে সর্বোচ্চ ৫ লাখ করে বাড়ানো যাবে। অন্যদিকে বিদেশি খেলোয়াড়দের জন্য ক্যাটাগরি থাকছে পাঁচটি। এ ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ 'এ' ক্যাটাগরির ভিত্তিমূল্য ৩৫ হাজার ডলার, যা প্রতি ডাকে সর্বোচ্চ ৫ হাজার ডলার করে বাড়ানো যাবে।

নিলাম থেকে প্রতিটি ফ্র্যাঞ্চাইজিকে কমপক্ষে ১৩ জন দেশি ক্রিকেটার নিতে হবে। যাদের জন্য খরচ করতে পারবে সর্বোচ্চ সাড়ে ৪ কোটি টাকা। আর নিলাম থেকে বিদেশি ক্রিকেটার নিতে হবে অন্তত ২ জন। নিলামের আগে সর্বোচ্চ ২ জন করে স্থানীয় ও বিদেশী খেলোয়াড় সাইন করাতে পারবে প্রতিটি দল। সরাসরি চুক্তি ও নিলাম মিলিয়ে বিদেশিদের জন্য খরচ করতে পারবে সর্বোচ্চ সাড়ে ৩ লাখ ডলার বা ৪ কোটি ৩০ লাখ টাকা মতো। যেহেতু প্রতিটি ফ্র্যাঞ্চাইজির কাছ থেকে ১০ কোটি টাকা ব্যাংক গ্যারান্টি নিচ্ছে বিসিবি, তাই বলাই যায় ঐ টাকার মধ্যেই স্কোয়াড গোছাতে হবে তাদের।

আরও পড়ুন: পিছিয়ে যাচ্ছে বিপিএলের নিলামের তারিখসর্বোচ্চ ১৬ জন দেশি ক্রিকেটার রেজিস্ট্রেশন করতে পারবে দলগুলো। রিজার্ভসহ প্রতিটি দল ২২ সদস্যের স্কোয়াড রাখতে পারবে। ম্যাচে কমপক্ষে ২ জন এবং সর্বোচ্চ ৪ জন বিদেশিকে রেখে একাদশ সাজানো যাবে।

এবারে পারিশ্রমিক পরিশোধের দিকটায় বেশ সতর্কাবস্থানে গভর্নিং কাউন্সিল। চুক্তি স্বাক্ষরের সময়ই ২৫ শতাংশ পারিশ্রমিক বুঝিয়ে দিতে হবে। এরপর লিগ পর্ব শেষ হওয়ার আগে ৫৫ শতাংশ এবং টুর্নামেন্ট শেষ হওয়ার ১ মাসের মধ্যে বাকি ২৫ শতাংশ অর্থ পরিশোধ করতে হবে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোকে।

Post a Comment

Previous Post Next Post